টাঙ্গুয়ার হাওরে শব্দদূষণ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন
- আপলোড সময় : ২৫-০৮-২০২৫ ০১:৩৭:১২ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৫-০৮-২০২৫ ০১:৩৭:১২ পূর্বাহ্ন

টাঙ্গুয়ার হাওর শুধু একটি জলাভূমি নয়; এটি জীববৈচিত্র্যের ভা-ার, দেশের গর্ব, আর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য, বছরের পর বছর ধরে এখানে চলছে উচ্চ শব্দে গান-বাজনা ও লাউড¯িপকারের তা-ব। প্রশাসনের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এবং প্রবেশমুখে ঝোলানো বিলবোর্ডে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাস্তবে এর কোনো কার্যকারিতা দেখা যাচ্ছে না।
হাওরের নৌকা ও হাউসবোটগুলোতে দিনে-রাতে চলা উচ্চ শব্দের গান কেবলমাত্র পর্যটকদের বিনোদনের জন্য হলেও এর মাশুল দিচ্ছে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য। বিশেষ করে পাখিরা শব্দদূষণের কারণে নিরাপদ আশ্রয় হারিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। শুধু পাখিই নয়, হাওরের জলজ প্রাণী ও বন্যপ্রাণীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে এই অনিয়ন্ত্রিত বিনোদন পুরো পরিবেশ ও ইকোসিস্টেমের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ- অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ব্যবস্থার কারণে টাঙ্গুয়ার হাওর তার স্বকীয়তা হারাতে বসেছে। অথচ দেশের মানুষ এই হাওরে আসে প্রকৃতির নীরব সৌন্দর্য উপভোগ করতে, কৃত্রিম শব্দের কোলাহল শুনতে নয়। পর্যটন যদি প্রকৃতিকে ধ্বংস করেই গড়ে ওঠে, তবে তা কোনোভাবেই টেকসই হতে পারে না। এক্ষেত্রে প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও তা যথেষ্ট নয়। নিয়মিত তদারকি, কঠোর আইন প্রয়োগ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ছাড়া এই অনিয়ম রোধ করা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে পর্যটকদের সচেতন করতে হবে - প্রকৃতিকে উপভোগ করার মানে প্রকৃতিকে বিরক্ত করা নয়।
আমরা মনে করি, টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় এখনই স্থায়ী ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। নৌকা ও হাউসবোটে লাউডস্পিকার নিষিদ্ধের নিয়ম বাস্তবায়নে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ ও পর্যটকদের সম্পৃক্ত করে একটি টেকসই ‘ইকো-ট্যুরিজম’ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় টাঙ্গুয়ার হাওরের সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে দাঁড়াবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ